কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করবেন, খরচ কত – update 2023

শেয়ার করুনঃ

কোর্ট ম্যারেজ আমাদের দেশে একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। পৃথিবীর কোথাও কোর্ট ম্যারেজের ধর্মীয় কোন ভিত্তি নাই। প্রাপ্তবয়স্ক (অনেক সময় অপ্রাপ্তবয়স্ক) ছেলে-মেয়েরা আদালতপাড়ায় কোর্ট ম্যারেজ করতে চায়। আইনজীবীও কোর্ট ম্যারেজ পদ্ধতি বিষয়ে ব্যাখ্যা না দিয়ে বিয়ের একটি হলফনামা সম্পন্ন করে দেয়। আইনে কোর্ট ম্যারেজ বলে কোনো বিধান নেই। এটি একটি লোকমুখে প্রচলিত শব্দ।

মুসলিম আইনে বিবাহ

মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে উপযুক্ত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। ছেলে ও মেয়েকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। মুসলিমে ধর্মেও কোর্ট ম্যারেজ এর কোন ভিত্তি নাই। আমাদের দেশে মুসলিম আইন অনুযায়ী একটি বৈধ বিবাহের শর্ত হলো-

১. পক্ষগণের প্রাপ্ত বয়স্ক হতে হবে। ছেলেদের ২১ ও মেয়েদের ১৮ বছর বয়স হতে হবে। বাল্য বিবাহ হওয়া যাবে না।

২. পক্ষগণের বিয়েতে সম্মতি থাকতে হবে (ইজাব ও কবুল)। নারীদের জোর করে বিয়েতে বাধ্য করানো যাবে না।

৩. প্রাপ্ত বয়স্ক/বয়স্কা দুইজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে পড়াতে হবে।

৪. দেনমোহর বা মোহরানা নির্ধারণ করতে হবে।

৫. বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, একটি বৈধ বিবাহ সম্পাদনের জন্য স্বাক্ষীদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হানাফি মত অনুসারে বিয়ের সাক্ষী সম্পর্কে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলার কথা বলা হয়েছে। একজন পুরুষকে একজন পূর্ণ সাক্ষ্য এবং সাক্ষী হিসেবে একজন নারীকে একজন পুরুষের অর্ধেক ধরা হয়েছে।

অর্থাৎ একজন নারী স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগুন একজন পুরুষ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গুনের অর্ধেক। কিন্তু বাংলাদেশের আইন (স্বাক্ষ্য আইন) অনুযায়ী নারী ও পুরুষ সমান গুরুত্ব পেয়ে থাকেন। সুতরাং বিয়ের স্বাক্ষী হিসেবে উপস্থিত দুই জনের দুইজন পুরুষ দুইজন নারী অথবা একজন পুরুষ আর একজন নারী হতে পারে।

হিন্দু কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব – এ প্রশ্নেরও উত্তর একই। শুধু বিয়ের হলফনামা সম্পন্ন করা হলে যে কোন ধর্মে বৈবাহিক অধিকার আদায় দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। হিন্দু বিয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই হিন্দু আইনের প্রথা মেনেই প্রাপ্তবয়স্ক পাত্র ও পাত্রীর মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। বর্তমানে হিন্দু বিয়েতে নিবন্ধনের বিষয়টি ঐচ্ছিক করা হয়েছে।

অন্যদিকে কোর্ট ম্যারেজ হলো বিবাহের ঘোষণামাত্র। আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অথবা আইনজীবী নিজেই কোর্ট ম্যারেজ এর এফিডেভিট সম্পন্ন করে থাকেন। ফলে এ সম্পর্কে এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য না জানার কারণে পরবর্তী সময়ে অনেক আইনি ঝামেলায় পড়তে হয়।

কোর্ট ম্যারেজ পদ্ধতি

প্রচলিত অর্থে কোর্ট ম্যারেজ পদ্ধতি বলতে সাধারণত হলফনামার মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিয়ের একটি ঘোষণা মাত্র। অনেকেই জানতে চান যে, কোর্ট ম্যারেজ কিভাবে করব। কোর্ট ম্যারেজ করতে প্রথমে নর-নারীকে আইনজীবীর স্মরণাপন্ন হতে হবে। এর আইনজীবী ৩০০ টাকার ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিক এই কাজটি সম্পন্ন করে থাকেন এবং বোঝানো হয়ে থাকে আইন অনুযায়ী কোর্ট ম্যারেজ করে বিয়ে হয়েছে।

কোর্ট ম্যারেজ এর বয়স

কোর্ট ম্যারেজ এর বয়স আর সাধারণ বিবাহের বয়স একই। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন অনুযায়ী বিবাহের জন্য ২১ বছর পুরুষকে এবং ১৮ বছরের নারীকে প্রাপ্তবয়স্ক ধরা হয়। ফলে কোন প্রাপ্ত বয়স্ক নর-নারীকে পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে সম্পন্ন করতে হবে। পারিবারিক আইন অনুযায়ী বিয়ে না করে শুধু এ হলফনামা সম্পন্ন করলে কখনই বিয়ে আইনসিদ্ধ নয় এবং প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

কোর্ট ম্যারেজ করতে কত টাকা লাগে

কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত ? কোর্ট ম্যারেজ করতে ৩০০ টাকার ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, আইনজীবীর ফি অন্যান্য প্রাসঙ্গিক খরচ করতে হয়। এতে আপনি আইনজীবী যত টাকা ডিমান্ড করে এবং আপনি আইনজীবী যা দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারেন। তবে আইনজীবী নিয়োগের আগে খরচের বিষয়ে তার সাথে আলোচনা করে নেয়াই ভালো হবে।

আর যদি আপনি কোর্ট ম্যারেজ এর সঙ্গে সঙ্গে কাজী ডেকে এনে কাবিননামা সম্পাদন করে ফেলেন তাহলে কাজীকে বিধি মোতাবেক খরচ দিতে হবে। সাধারণত যেসব আইনজীবীর চেম্বারে কোর্ট ম্যারেজ করা হয়, সেসব আইনজীবীর চেম্বারে কাজীদেরও আনাগোনা থাকে। চেম্বারের মোহরাকে বললেই সে কাজীকে খবর দিয়ে নিয়ে আসবে।

মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা-২০০৯ আইনের ১০ বিধি মোতাবেক একজন কাজী বিবাহ রেজিস্ট্রিকরণের জন্য ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দেনমোহরের ক্ষেত্রে এক হাজার বা উহার অংশ বিশেষের জন্য ১২.৫০ টাকা হারে ফি আদায় করতে পারবে। দেনমোহর ৪ লাখ টাকার অধিক হলে পরবর্তী প্রতি লাখে ১০০ টাকা হারে আদায় করবেন। সে হিসেবে কারো কাবিন যদি পাঁচ লক্ষ টাকা হয়, তার বিয়ের রেজিস্ট্রি ফি হচ্ছে ৫১০০ টাকা। কারো কাবিন যদি পাঁচ লক্ষ এক টাকা হয়, তার রেজিস্ট্রি ফি মোট রেজিস্ট্রি ফি হবে ৫২০০ টাকা।

কোর্ট ম্যারেজ ফরম

কোর্ট ম্যারেজ এর কোন ফরম বলতে কিছুই নেই। তবে বিভিন্ন কোর্ট ম্যারেজ এর হলফনামা থেকে মুসলিম কোর্ট ম্যারেজ এর নমুনা কপি যেমন হতে পারে তার একটি কপি নিচে দেয়া হলো।

“ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
মাননীয় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালত, ঢাকা, বাংলাদেশ
মাননীয় নোটারী পাবলিকের কার্য্যালয়, ঢাকা, বাংলাদেশ।

“বিবাহের হলফনামা”
(কোর্ট ম্যারিজ)

আমরা (১) মোসাঃ ফারিহা, পিতাঃ …………, মাতাঃ …………, স্থায়ী ঠিকানা-গ্রাম- …………, ডাকঘর-…………, থানা-…………, জেলা-…………, বর্তমান ঠিকানা ঃ বাসা/হোল্ডিং-…………, ব্লক-বি, রাস্তা-…………, ডাকঘর…………, গুলশান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা। জন্ম তারিখ …………ইং, পেশা-চাকুরী, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী।

(২) মোঃ ফখরুল, পিতা-…………, মাতা-মোসাঃ …………, স্থায়ী ঠিকানা- গ্রাম- …………, ডাকঘর-…………, থানা-…………, জেলা-…………। বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ি নং-…………, ডাকঘর-বনানী-১২১৩, গুলশান, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা। জন্ম তারিখ …………, পেশা-চাকুরী, ধর্ম-ইসলাম, জাতীয়তা-বাংলাদেশী।

১. আমরা উভয় হলফ পূর্বক ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা বাংলাদেশ সরকারের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক ও স্থায়ী বাসিন্দা বটে।

২. আমরা উভয়ে মুসলিম পরিবারের সন্তান বটে। আমরা আরও ঘোষণা করিতেছি যে, আমরা উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্কা-বয়স্ক, ভাল-মন্দ, বুঝিবার যথেষ্ঠ জ্ঞান সম্পন্ন বটে।

৩. আমরা একে অপরের সাথে চলা-ফেরা উঠা বসা করিয়া আসিতেছি তাই আমাদের মধ্যে চেনা জানা আছে, তাই আমরা একে অপরকে গভীর ভাবে ভালবাসি।

৪. আমাদের এই চলাফেরার ফলে উভয় উভয়কে চিনিতে পারিয়াছি। আমাদের এই চেনা জানার সূত্র ধরিয়া একে অপরের সহিত গভীর ভাবে প্রেমে আবদ্ধ হয়েছি। এখন এমন এক পর্যায়ে আসিয়া পৌছিয়াছি যে, আমাদের পবিত্র প্রেম ভালবাসাকে চিরস্থায়ী করার জন্য আমরা উভয়ে এই মর্মে মাননীয় নোটারী পাবলিকের সম্মুখে অত্র হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম। কারণ আমরা উভয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হইলে আমরা জীবনে সুখী হইতে পারিব বলিয়া আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তাই অদ্য রোজ মাননীয় প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেট ও নোটারী পাবলিক ঢাকা, বাংলাদেশ এর কার্যালয়ে উপস্থিত হইয়া অত্র হলফনামার মাধ্যমে আমরা উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্দ হইলাম এবং অদ্য রোজ স্বাক্ষীগণের মোকাবেলায় মাননীয় নোটারী পাবলিকের সম্মুখে হাজির হইয়া উভয় উভয়কে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ ও বরণ করিয়া নিলাম। অদ্য হইতে আমরা সমাজে স্বামী-স্ত্রী হিসাবে পরিচিত লাভ করিব।

৫. প্রকাশ থাকে যে, আমাদের বিবাহের ব্যাপারে আমাদের উভয়ের পিতা-মাতা আত্মীয়, স্বজন কোনরূপ বাধা প্রদান করিতে পারিবে না যদি করে তাহা সর্ব আইন-আদালতে অগ্রাহ্য ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে। আমাদের অত্র বিবাহের দেন মোহর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লাখ) টাকা মাত্র এবং উসুল বাবদ ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা মাত্র খোরপোষ ভদ্রানচিত ভাবে প্রদান করা হবে।

৬. আমি ১নং হলফকারিনী ঘোষণা করিতেছি যে, ২নং হলফকারী আমাকে বিবাহের ব্যাপারে কোনরূপ জোর জবরদস্তি করে নাই। সম্পূর্ণ আমাদের উভয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী কোর্ট প্রাঙ্গনে অত্র হলফনামার মাধ্যমে বিবাহের ঘোষণা করিলাম এবং কখনো তাহাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করিব না। তাহাকে যথাযথ স্বামীর মর্যাদা প্রদান করিব এবং আমি কখনো তাহার সহিত খারাপ আচরন করিব না এবং তাহার অবাদ্য হব না। তাহার আদেশ নির্দেশ মানিয়া চলিব। তাহাকে আমি স্বামী হিসাবে কবুল করিলাম।

৭. আমি ২নং হলফকারী ঘোষণা করিতেছি যে, ১ নং হলফকারীনী আমাকে বিবাহের ব্যাপারে কোনরূপ জোর জবরদস্তি করে নাই। সম্পূর্ণ আমাদের উভয়ের ইচ্ছা অনুযায়ী কোর্ট প্রাঙ্গনে অত্র হলফনামার মাধ্যমে বিবাহের ঘোষণা করিলাম এবং কখনো তাহাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিব না। তাহাকে যথাযথ স্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করিব এবং আমি কখনো তাহার সহিত খারাপ আচরণ করিব না এবং তাহার কাছে যৌতুক দাবী করিব না। তাহাকে আমি স্ত্রী হিসাবে কবুল করিলাম।

৮. আমাদের উক্ত বিবাহকে কেন্দ্র করে আমাদের উভয়ের পিতা-মাতা, আত্মীয় স্বজন কোন প্রকার জি.ডি. এন্ট্রি বা হয়রানী মূলক মামলা মোকাদ্দমা করে তাহলে সর্ব আইন-আদালতে অগ্রাহ্য ও বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

৯. আমাদের উক্ত বিবাহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে রেজিষ্ট্রী করিতে বাধ্য থাকিব।

উপরোক্ত বর্ণনা আমাদের জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সত্য জানিয়া নোটারী পাবলিকের সম্মুখে হাজির হয়ে অত্র হলফনামায় নিজ নিজ নাম সহি স্বাক্ষর করিলাম।

তারিখঃ / /২০ ইং।

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষরঃ

১।

২।

৩।

হলফকারীগণের স্বাক্ষর

১নং হলফকারীনীর স্বাক্ষর

২নং হলফকারীর স্বাক্ষর

হলফকারীগণ আমরা পরিচিত।

তাহারা অত্র হলফনামায় নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়াছেন।

আমি তাহাদেরকে সনাক্ত করিলাম।

এডভোকেট”

এই বিবাহের হলফনামাটি কম্পিউটারে কম্পোজ করে তিনটি একশত টাকার ষ্ট্যাম্প পেপারে প্রিন্ট করতে হবে বর কনেকে স্বাক্ষর করতে হবে। এরপর স্বাক্ষীরা স্বাক্ষর করবেন। এরপর আইনজীবী প্রয়োজনীয় হলফনামা সম্পাদন করবেন। এই হলফনামার মূল কপি বর-কনের কাছে থাকবে। এটাই কোর্ট ম্যারেজ সার্টিফিকেট। এর বাইরে কোন সার্টিফিকেট নেই।

সতর্কতা

সম্প্রতি আইন মন্ত্রণায়ের এক আদেশে নোটারী পাবলিক কোন আইনজীবীকে হলফনামার মাধ্যমে বিবাহ তথা প্রচলিত কোর্ট ম্যারেজ না করাতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ডে কোন আইনজীবী জড়িত থাকলে তার নোটারী সনদ বাতিল হয়ে যেতে পারে।

তবুও বিবাহ রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক

মুসলিম বিয়ে ও তালাক (নিবন্ধন) আইন অনুযায়ী, প্রতিটি বিয়ে অবশ্যই রেজিস্ট্রি করতে হবে। কার সঙ্গে কার, কত তারিখে, কোথায়, কত দেনমোহর ধার্য, কী কী শর্তে বিয়ে সম্পন্ন হলো, সাক্ষী ও উকিলের নাম প্রভৃতির একটা হিসাব সরকারি নথিতে লিখে রাখাই হলো রেজিস্ট্রি। বর্তমান আইন অনুযায়ী বিয়ে রেজিস্ট্রি করার দায়িত্ব মূলত বরের। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় নিকাহ রেজিস্টার ও পাত্রের ২ বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় ধরনের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। যে ক্ষেত্রে নিকাহ রেজিস্টার বিয়ে পড়িয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে বিবাহ রেজিস্টার তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে রেজিস্ট্রি করবেন।

কোর্ট ম্যারেজ এর সুবিধা অসুবিধা

কোর্ট ম্যারেজ এর সুবিধা বলতে তেমন নাই। বরং এর অসুবিধাই বেশি। কারণ আদালতে বিয়ে প্রমাণ করতে হলে আপনাকে কাবিনামা প্রদর্শন করতে হবে। আর কাবিননামা ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আবার বিয়ে রেজিস্ট্রি করা থাকলে তালাকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয়। অন্যদিকে স্ত্রীকেও দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায়ের জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। এছাড়া সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন:

Notary public : নোটারি কী, কেন করা হয়? update – 2023

 

শেয়ার করুনঃ

Leave a Comment